সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের আগে গণভোট ও পিআরের দাবিতে জাতি বিভক্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক যুব ঐক্য কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের রায় নেওয়ার পক্ষে সবাই প্রায় একমত। কেউ কেউ বলছে, আগে গণভোট করতে হবে। যারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, সেটা নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, জনগণ সুষ্ঠু ভোটের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। কেউ অনিয়ম করতে চাইলে জনগণই প্রতিহত করবে। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা গৌণ হবে।
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার প্রথা ভবিষ্যতের জন্য ভয়ংকর হবে। বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। জনগণ ৫ আগস্ট জানিয়ে দিয়েছে, দেশে ফ্যাসিবাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। আন্তর্জাতিক বৈধতার জন্য এটা বিচারিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত।
বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে নির্বাচন হবে কি হবে না— এই প্রশ্ন করার পরিবেশ নেই। নির্বাচন হবেই। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সংস্কারের পথে হাঁটেনি, তাই সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা সংস্কারের পথে হেঁটে ঝামেলা বাড়িয়ে ফেলেছি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, নাহিদ ইসলামরা যাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছে, তারা জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। উপদেষ্টারা গণঅভ্যুত্থানের কী বোঝে?
তিনি আরো বলেন, সংস্কারের জন্য কি আমাদের আবার জীবন দিতে হবে? আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়। আগের প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। একই দিনে জাতীয় নির্বাচনে ভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ভোটে জামায়াত রাজি হয়নি। ঐকমত্য কমিশনের ভেতরে ইতিবাচক থাকলেও বাইরে গিয়ে পরিবর্তন হয়েছে জামায়াতের। নিম্নকক্ষে পিআর দেশে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। পিআর নিয়ে আন্দোলন ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দিচ্ছে। বিভাজন নিয়ে নির্বাচনে গেলে তা বানচাল করে দেবে আওয়ামী লীগ ও ভারত।
কুশল/সাএ